লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফ সদস্যের অনুপ্রবেশ, পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানালো বিজিবি
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মিঠাইবাড়ী সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং সন্ধ্যা ৬টায় পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
সীমান্ত সূত্র এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, ভারতীয় কোচবিহার জেলার জলপাইগুড়ি অঞ্চলের পানিশালা ক্যাম্পের ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের একজন সদস্য রাইফেলসহ প্রধান সীমান্ত পিলার ৮৪৫ ও উপ-পিলার ১০ নম্বরের মাঝের শূন্যরেখা অতিক্রম করে প্রায় ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন।
এ সময় স্থানীয় দুই কৃষক সাদ্দাম হোসেন ও রাকিব হোসেন ভুট্টা খেতে কাজ করছিলেন। তারা বিএসএফ সদস্যকে দেখে তাকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি সরে না যাওয়ায় কৌশলে তাকে আটক করেন। পরে তিনি অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে কিছু সময় পর তিনি আবারও একই পথে প্রবেশের চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর বাধায় দ্রুত ভারতের দিকে ফিরে যান।
ঘটনার পরপরই বিজিবির রংপুর অঞ্চলের ৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) পয়ষট্টিবাড়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েব সুবেদার আমিনুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে বুড়িমারী বিজিবি কোম্পানি সদর থেকে ভারতীয় পানিশালা বিএসএফ কোম্পানির কমান্ডারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়।
সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বুড়িমারী বিজিবি কোম্পানি সদরের কমান্ডার আবুল কাশেম এবং ভারতের পক্ষে পানিশালা-১ কোম্পানির ইনস্পেক্টর রামচন্দ্র সিং উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের ছয়জন করে মোট ১২ জন বৈঠকে অংশ নেন।
বিজিবি কমান্ডার আবুল কাশেম বলেন, “সীমান্তে একজন বিএসএফ সদস্যের অনুপ্রবেশের বিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারার পর আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিই এবং প্রতিবাদ জানাই। পতাকা বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তবে বিএসএফ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আমরা তাদের সতর্ক করেছি।
সূত্রঃ ইত্তেফাক