আইভীকে গ্রেপ্তার ঠেকাতে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা: ২৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) রাতে থানার এসআই রিপন মৃধা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার পরপরই শহরের শহীদ নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ এজাহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মামলার ১৭ নম্বর আসামি মো. হানিফ, তার ছেলে ও ২৯ নম্বর আসামি মো. জিসান এবং মামলার ২৪ নম্বর আসামি শওকত মিথুন।
মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার ‘চুনকা কুটির’ নামে নিজ বাসভবন থেকে ডা. আইভীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার সমর্থকরা পুলিশের বাধা সৃষ্টি করে। দীর্ঘ সাত ঘণ্টার চেষ্টার পর শুক্রবার ভোরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
আইভীকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় উকিলপাড়া মোড়ে হামলার শিকার হয়। এতে একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়েরকৃত কয়েকটি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার ভিত্তিতে আইভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এসব মামলার মধ্যে অন্যতম সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, “মামলায় নাম উল্লেখসহ মোট ২৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
পুলিশ সূত্র জানায়, আইভীকে গ্রেপ্তারের সময় বাড়ির আশপাশে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলেন।
সূত্রঃ ইত্তেফাক
