রাজনীতির প্রভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্রীড়াঙ্গন: ক্রীড়া উপদেষ্টা

চলতি বছরের অক্টোবরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঘিরে ইতোমধ্যে ক্রিকেটাঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিসিবির আসন্ন নির্বাচন এবং ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

গতকাল মিরপুরের জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজ’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিসিবির আসন্ন নির্বাচন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার চেষ্টা করা হবে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, “নির্বাচনের সময় সম্ভবত অক্টোবর। আশা করছি, নতুন গঠনতন্ত্র অনুসরণ করেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা ক্রীড়াঙ্গনকে শুধু ঢাকা-কেন্দ্রিক না রেখে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের সুযোগ বাড়াতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোথায় কোথায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনটি স্টেডিয়াম সংস্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকার বাইরে, যেমন উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গেও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।”

বিগত সময়ে বিসিবির নেতৃত্বে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেখা গেছে, যা নিয়ে সমালোচনা ছিল বরাবরই। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমরা এমন জায়গায়ও রাজনীতি নিয়ে আসি, যেখানে সেটার প্রয়োজনই নেই। অকারণে প্রভাব বিস্তার করার প্রবণতা অনেক কিছু নষ্ট করে দেয়। ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতির প্রবেশ বিগত সময়গুলোতে ক্ষতিই করেছে। অভিজ্ঞতা খুব একটা ইতিবাচক নয়।”

তিনি আরও বলেন, “খেলাধুলায় বাইরের লোক কেবল তখনই আসতে পারবে, যদি তারা স্পনসর বা প্রচারের কাজে যুক্ত থাকে। আমরা অন্যান্য ফেডারেশনেও সেই অনুযায়ী কাজ করছি। বিসিবির ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করব। আগে আমরা দেখেছি—কিছু ব্যক্তি খারাপ কর্মকাণ্ড, যেমন ফিক্সিং ও ট্রাফিকিংয়ে জড়িত ছিলেন, এখন রাজনৈতিক আশ্রয়ে আবার ক্রীড়াঙ্গনে প্রবেশ করতে চাইছেন। আমরা সেই প্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তারা যেন আর কোনো ফেডারেশন বা বোর্ডে জায়গা না পান—সেই লক্ষ্যে আমরা এগোব।

সূত্রঃ ইত্তেফাক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *