শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি চালানো হয়েছিল নির্বিচারে।

জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশনা ছিল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সহায়তায়। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরাপত্তা বাহিনী অত্যধিক বলপ্রয়োগের মাধ্যমে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করেছিল। এতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে এবং সরকার তাতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তা গোপন করার চেষ্টা করেছে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, জাতিসংঘ দলটি বাংলাদেশে জুলাই এবং আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে, যেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার মতো ঘটনার সাথে সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী জড়িত ছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, শেখ হাসিনার সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে অত্যাধিক বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সহিংসতা বাড়ানো হয়েছিল। ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয়ে, নিরাপত্তা বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল, যার ফলে হাজারো আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হয় এবং ১,৪০০ এর মতো মানুষ নিহত হয়।

এছাড়াও, জাতিসংঘের দল জানিয়েছে যে, এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুপারিশও করেছে, যেমন নিরাপত্তা বাহিনীর সংস্কার, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, এবং বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা।

এভাবে, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দমনপীড়নের ঘটনাগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এবং সরকারকে এসব ঘটনার জন্য জবাবদিহি করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *