জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর সকাল পৌনে ১০টায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্যানেলে তাদের বিরুদ্ধে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এই মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তার নেতৃত্বে গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, ডিবি ও পুলিশ আন্দোলনরত সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এদিকে, মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি গুম-খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন এবং ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত গোপন কারাগারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
এই মামলায় আরও ৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, সাবেক পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকেও এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে বলেন, তদন্ত সংস্থা প্রাথমিক তদন্তে যে অভিযোগ পেয়েছে, তাতে এই কর্মকর্তাদের প্রত্যেকেরই ‘সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির দায়’ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ বেপরোয়া আচরণ করেছে এবং তার ওপর সবকিছুর দায় বর্তায়। এদিকে, মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে ‘আয়নাঘরের কারিগর’ ও ‘নাৎসি বাহিনীর কসাই’র সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামীতে অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্রঃ আমার দেশ