আমি কখনই আয়নাঘরে চাকরি করিনি: জিয়াউল আহসান

“জুলাই-আগস্টের গণহত্যা: মানবতাবিরোধী অপরাধে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ৮ কর্মকর্তার গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ”

জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন নিষ্পেষণের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ৮ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এই বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। পরবর্তীতে, প্রিজন ভ্যানে করে ৮ কর্মকর্তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় প্রিজন ভ্যানের মধ্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান বলেন, “আমি কখনই আয়নাঘরে চাকরি করিনি”। গুম-খুনের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ দেওয়া হবে না”।

এই ৮ কর্মকর্তাকে সকালে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

এদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে তদন্ত এবং মামলা দায়ের হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার গত ২৭ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

এছাড়া, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে সারা দেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে ১২৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে, গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর পরপরই, এই প্রথমবারের মতো ১৩ জন রাজনৈতিক নেতা ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *