ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর মরদেহ কলকাতায় পৌঁছানোর পর কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, “যেভাবে ইসরায়েল গাজাকে দমন করেছে, আমরাও সেভাবেই তাদের মোকাবিলা করবো। ওদের কোনো চিহ্ন রাখবো না।”
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে কলকাতার বিমানবন্দরে নিহত বিতানের মরদেহ পৌঁছালে আবেগাপ্লুত পরিবেশের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ছোট্ট শিশুটির চোখের সামনে তার বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সে শুধু হিন্দু বলেই তাকে মেরে ফেলা হলো! হিন্দুস্তানে হিন্দুকে হত্যা করবে! তা হতে পারে না।”
বিতানের স্ত্রী সোহিনী অধিকারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার ছেলের সামনেই ওর বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমি বিচার চাই।” শুভেন্দু অধিকারী তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, “আপনাদের পাশে আছি। খুনিদের ছাড় দেওয়া হবে না।”
অন্যদিকে, হামলায় নিহত আরেক বাঙালি সমীর গুহর কফিন বন্দি মরদেহ নেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরাও। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ইসরায়েলের মতোই আমাদেরও জবাব দিতে হবে। যদি ২৬ জন মারা যায়, তাহলে পাল্টা জবাবে ২৬০ জনকে ধ্বংস করতে হবে।”
তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখন সময় এসেছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার। যারা এই বর্বরতা চালাচ্ছে, তাদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া উচিত।”
বিজেপি সাংসদ ও কলকাতা হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী বলেন, “যা হয়েছে, তার প্রতিশোধ অবশ্যই নেওয়া হবে। সময়মতো তার জবাব পাবে তারা।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। নিহত বিতান অধিকারী যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় কর্মরত ছিলেন এবং ছুটিতে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও তার জীবন tragically শেষ হলো এই হামলায়।
সূত্রঃ ইত্তেফাক