ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর চালানো সন্ত্রাসী হামলার পর ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। আহতদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ নেই, এমনকি সাংবাদিকদের হাসপাতালে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই তথ্য দিয়েছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া ও আফগানিস্তান প্রতিনিধি ইউগিতা লিমায়ে।
মঙ্গলবারের হামলায় অন্তত ২৬ জন প্রাণ হারান। আজ বুধবার ইউগিতা জানান, “আমরা হামলার জায়গা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে আছি। আমাদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ বলছে, মিডিয়াকে সেখানে যেতে না দেওয়ার স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। যদিও সাধারণ মানুষের চলাচলে কোনো বাধা নেই, কিন্তু সাংবাদিকদের গন্তব্যে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”
তিনি আরও জানান, কিছু সাংবাদিক নিষেধাজ্ঞা জারির আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হলেও, এখন সেখানে কাজ করাটা কার্যত অসম্ভব হয়ে গেছে। বিবিসি জানিয়েছে, কাশ্মীরে দীর্ঘদিন ধরেই সাংবাদিকতার পরিবেশ কঠিন। কিন্তু ২০১৯ সালে রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে স্থানীয় সাংবাদিকরা আরও কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে কাজ করছেন এবং স্বাধীনভাবে রিপোর্ট করাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এদিকে, নেপালের দূতাবাস জানিয়েছে, হামলায় নিহতদের মধ্যে তাদের দেশের একজন নাগরিক রয়েছেন। পাকিস্তান এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তার বক্তব্য, এটি আসলে ভারতের অভ্যন্তরীণ কোনো ষড়যন্ত্র।
কাশ্মীরে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্বনেতারা।
সূত্রঃ কালবেলা