জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে জনগণের রায়ই চূড়ান্ত, কোনো দলের ইচ্ছা নয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের উপর ছেড়ে দেওয়া শহীদদের আত্মত্যাগের অবমাননা। ইউনূস সাহেবকে মনে রাখতে হবে, তিনি হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। শহীদদের আত্মত্যাগকে অগ্রাহ্য করা মানে ইতিহাসের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।”
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পল্টনে শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে যুব জাগপা আয়োজিত মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত এক যুব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
রাশেদ প্রধান আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও দেশের সাধারণ মানুষ যে রায় দিয়েছেন, সেটিই চূড়ান্ত। সন্ত্রাসে লিপ্ত দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। দিল্লি ও তাদের দেশীয় দোসরদের আধিপত্য আর মেনে নেওয়া হবে না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মাহমুদুর রহমান ও ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে। সেই সঙ্গে দেশের অর্থ পাচারকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত বলেও দাবি করেন তিনি। দ্রুত মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি মেঘনা গ্রুপের পণ্য বর্জনের ডাক দেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু। আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম শফিকসহ দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
সূত্রঃ আমার দেশ