চিকিৎসাসেবায় মনন, দায়িত্ব ও সৃজনশীলতা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা
চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে চিকিৎসকদের মননশীলতা, সৃজনশীলতা, দায়িত্ববোধ ও সক্ষমতা দিয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সীমিত সম্পদেও যদি মনোভাব পরিবর্তন করা যায়, তবে স্বাস্থ্যসেবার অন্তত ২৫ শতাংশ উন্নয়ন সম্ভব।
সোমবার (১২ মে) রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত ‘সিভিল সার্জন সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনদের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বাস্থ্যখাত যে স্বাস্থ্যহীন, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু একে অপরকে দোষ দিয়ে কোনো সমাধান আসবে না। বরং আমাদের আত্মজিজ্ঞাসা করতে হবে—কীভাবে সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব।” তিনি বলেন, বিশ্বে অন্যান্য দেশ যদি ভালো স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারে, তাহলে আমাদের সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলো চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা করতে হবে।
স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন আনার জন্য সদিচ্ছা এবং সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “কোভিড মহামারি ও জুলাই আন্দোলনের সময় চিকিৎসকরা জীবন ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়েছেন, এজন্য তাঁদের অভিনন্দন।” তিনি সিভিল সার্জনদের ‘স্বাস্থ্যখাতের কান্ডারি’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “যদিও ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও জনবলের ঘাটতি আছে, তবু মেধা ও দায়িত্বশীলতা দিয়ে তারা স্বাস্থ্যখাতকে এগিয়ে নিতে পারেন।”
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাত হাজার সুপার নিউমারারি পদ সৃষ্টি করে প্রমোশন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে এবং শিগগিরই চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. সাইয়েদুর রহমান বলেন, “প্রমোশন, পদায়ন, বাজেট এবং ওষুধের ঘাটতি নিরসন করতে পারলেই স্বাস্থ্যখাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব।” তিনি ‘ইউনিক হেলথ কার্ড’ চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যব্যবস্থার পুনর্গঠনের কথাও জানান।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা সিভিল সার্জন ড. মো. জিল্লুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু জাফর।
সূত্রঃ আমার দেশ