নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন করেছেন।

বেনাপোল বন্দরে ‘কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল’ উদ্বোধন, পণ্যজট কমানোর আশা

দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে পণ্যজট কমাতে এবং বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নির্মিত ‘কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল’ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এই টার্মিনাল উদ্বোধন করেন এবং বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

টের্মিনাল উদ্বোধন শেষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য বোঝাই ট্রাকগুলি এই টার্মিনালে রাখা হবে, পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হওয়া পণ্য বোঝাই ট্রাকগুলোও এখানে অবস্থান করবে। তবে, ভারতীয় পণ্য বোঝাই আমদানিকৃত ট্রাকের তুলনায় ভারতে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এখানে রাখা হবে।

এসময় উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বেনাপোল বন্দরের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান (অতিরিক্ত সচিব), যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, বিজিবি দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বেনাপোল পৌর প্রশাসক ড. রাজীব হাসান, শার্শা উপজেলা এসিল্যান্ড নুসরাত জাহান, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার, বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান প্রমুখ।

পরে, তিনি বন্দর অডিটোরিয়ামে স্থলবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব শামসুর রহমান বলেন, “বেনাপোল দেশের অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। এখানে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ভারতীয় আমদানিকৃত পণ্য বোঝাই গাড়ি প্রবেশ করে, এবং ১৫০ থেকে ২০০ বাংলাদেশী রপ্তানি পণ্য বোঝাই গাড়ি ভারতে প্রবেশ করে। কিন্তু পণ্যবোঝাই গাড়ির রাখার জায়গা না থাকায় বন্দরে প্রায়ই যানজট সৃষ্টি হতো। এখন কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল চালু হওয়ায় একসঙ্গে ১৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক রাখার সুবিধা হবে, ফলে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যা কমে আসবে এবং সীমান্ত বাণিজ্য ও রাজস্ব আয় বাড়বে।”

এই টার্মিনালটি ৪১ একর জমির উপর নির্মিত এবং এর নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩২৯ কোটি টাকা। প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান আলি জানান, আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *