মানবাধিকার কর্মী এবং লন্ডনভিত্তিক দ্য জেনোসাইড ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টের মাধ্যমে টবি ক্যাডম্যান নিজেই এই ঘোষণা দেন। তিনি লিখেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করছি যে, আমাকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”
টবি ক্যাডম্যানের ল’ ফার্ম গার্নিকা ৩৭-এর এক্স হ্যান্ডল থেকে এই নিয়োগ সম্পর্কে তিনটি পোস্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, টবি ক্যাডম্যানকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং তার দায়িত্ব হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কিত সব বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরকে পরামর্শ দেওয়া।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর বাংলাদেশে আসেন টবি ক্যাডম্যান। ২ সেপ্টেম্বর তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর পরই তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার খবর প্রকাশ করেন। তবে এই বিষয়ে বাংলাদেশের সরকারের বা চিফ প্রসিকিউটরের অফিস থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার করতে ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম ২৫ মার্চ ২০১০ থেকে শুরু হয় এবং পরে ২০১২ সালে আরও একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালে দুটি ট্রাইব্যুনাল একীভূত হয়ে একটি ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কাজ চলমান থাকে।
এছাড়া, ২০১৫ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন টবি ক্যাডম্যান, তবে তখন তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে, বাংলাদেশে চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে ট্রাইব্যুনালে কাজ চলছে।