সম্প্রতি বাংলাদেশে বেশ কিছু সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করার ঘটনা তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এর মধ্যে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এর ব্যুরো চিফসহ ১৮৪ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল করা হয়, যা এখন আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন তুলেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ বিষয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে জানায়, এই ঘটনার বিষয়ে তারা এখনো বিস্তারিত জানেন না। তবে, যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, সেটি দুঃখজনক বলে মনে করা হচ্ছে। দপ্তরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যে কোনো দেশের, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশের, সংবাদ সংগ্রহ এবং প্রচারের মৌলিক অধিকার হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই উৎসাহিত করে এবং বিষয়টি যথাযথভাবে সম্মানিত করতে চায়।
এদিকে, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) সম্প্রতি বাংলাদেশে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। সিপিজে তাদের চিঠিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ২০০৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের ঘোষণা এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। তারা সরকারের কাছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চলমান মামলা প্রত্যাহার, আটক সাংবাদিকদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণ এবং সাংবাদিকদের উপর শারীরিক হামলা ও সহিংসতার ঘটনার দ্রুত, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
সিপিজে আরও দাবি করেছে, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি সাংবাদিক সুরক্ষা আইন গঠন করা উচিত, যাতে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার হুমকি বা হয়রানি না হয়।
এভাবে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।