দেখতে অনেকটা একই রকম লাগে ওটস আর চিড়াকে। যে কারণে অনেকেই ডায়েটে দুধ ওটসের পরিবর্তে দই চিড়া রাখার প্ল্যান করেন। কিন্তু পুষ্টিগুণ না জেনে ডায়েটে ওটস কিংবা চিড়া কোনোটাই রাখা উচিত নয় বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা।
তাই আজকের আয়েজনে থাকছে ওটস আর চিড়ার কিছু পুষ্টিগুণের কথা। যা জেনে সহজেই আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনার ডায়েটে কোনটা রাখা বেশি ভালো হবে।
প্রথমেই জানিয়ে দিই, ওটস একটি বিদেশি খাবার। আর চিড়া আমাদের দেশীয় একটি খাবার। চাল থেকে চিড়া তৈরি হয় সবাই জানলেও অনেকেই জানেন না অ্যাবিনা এসিডো থেকে তৈরি হয় ওটস।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ১০০ গ্রাম ওটসে আছে এনার্জি প্রায় ৪০০ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ১৭ গ্রাম, ফ্যাট ৭ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৬৬ গ্রাম, ফাইবার ১১ গ্রাম।
অন্যদিকে ১০০ গ্রাম চিড়ায় আছে এনার্জি প্রায় ৩৪৬ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ৭ গ্রাম, ফ্যাট ১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৭৭ গ্রাম, ফাইবার ১ গ্রাম।
তবে এ পুষ্টিমান দেখে ডায়েটে চিড়া বা ওটসকে প্রাধান্য দেয়া ঠিক হবে না। কারণ ওটসে ফ্যাটের পরিমাণ চিড়ার চেয়ে বেশি হলেও তা ক্ষতিকর নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওটসে থাকা ফ্যাট মূলত পলিআনস্যাচুরেটেড। তাই এটি শরীরের জন উপকারী।
যারা ওজন কমাতে চান তাদের ওটসকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ ওটস খাওয়ার পর দীর্ঘ সময় ক্ষুধা লাগে না। অন্যদিকে যারা ওজন বাড়াতে চান তারা চিড়াকে প্রাধান্য দিতে পারেন। কারণ চিড়া খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই খিদে ভাব বেড়ে যায়।
এছাড়া ওটস উচ্চ রক্তচাপ কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আর চিড়া ডায়রিয়া, ক্রন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তারাও নির্ভয়ে চিড়া খেতে পারেন। কারণ, চিড়ায় সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের পরিমাণ খুবই কম।
তাই আপনার শরীরে কোনটি প্রয়োজন তা বুঝে সিদ্ধান্ত নিন ডায়েটে ওটস নাকি চিড়াকে প্রাধান্য দেবেন। তবে মনে রাখবেন, প্রতিদিনই দই চিড়া বা দুধ ওটস খাওয়া মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই সপ্তাহে দুইদিন ওটস বা চিড়া রাখতে পারেন। সপ্তাহের বাকি দিনের সকালের নাশতায় রাখতে পারেন অন্য ধরনের কোনো স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার।