সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএসডিপি)। দলটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. বিভূতি রায় এই ঘোষণা দেন। নতুন দলের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ক্ষমতায় জনগণ’। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির আত্মপ্রকাশ উদযাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী বিভূতি রায় বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন, যেখানে প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ ও মর্যাদা পাবে। বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা হলো একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র, যেখানে গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক সমতা ও মানবাধিকার বাস্তবায়িত হবে। আমরা এই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করতেই নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখি যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি উন্নতি ও দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারবে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি এবং অগ্রগতির মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা এবং বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বদরবারে তুলে ধরা।”
সংবাদ সম্মেলনে দলটির ১০ দফা উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়:
১. গণতন্ত্রের শক্তিশালীকরণ – সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ গণতন্ত্র নিশ্চিত করা এবং জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করা।
২. কর্মসংস্থান অগ্রাধিকার – কর্মক্ষম ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এবং অদক্ষ যুবসমাজকে দক্ষ করে তোলা।
৩. সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা – বৈষম্যহীন, সহজলভ্য ও ন্যায়সঙ্গত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
৪. কর্মমুখী শিক্ষা – আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা।
৫. শ্রমিকদের অধিকার ও অর্থনৈতিক সমতা – ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা।
৬. পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু ন্যায়বিচার – টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণ এবং নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার।
৭. নারী ও শিশু অধিকার – নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
৮. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে লড়াই – রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা।
৯. সামাজিক ন্যায়বিচার – ধনী-গরিব বৈষম্য দূর করে সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা।
১০. প্রযুক্তিতে অ্যাক্সেস ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি – ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি, সাশ্রয়ী মূল্যের নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট নিশ্চিত করা এবং ডিজিটাল বিভাজন দূর করা।
সংবাদ সম্মেলনে নবগঠিত দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।