ঢাকা ও নয়া দিল্লির মধ্যে আবারো কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দেন, যা এই উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি তার বক্তব্যে ক্ষমতার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিযুক্ত করেন। ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার পবন বাধে’কে ঢাকায় তলব করে বাংলাদেশ তার ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে।
শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর দেশটির প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি রক্ষায় নির্মিত একটি বাসভবনে আগুন দেওয়া হয় এবং ভাঙচুর চালানো হয়। একই সঙ্গে, তার বক্তব্যে শেখ হাসিনা একে ‘ব্রাত্য ইতিহাসের সম্মান’ হিসাবে আখ্যায়িত করে ইতিহাসের বদলা নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক, হতাশাজনক এবং গুরুতর বলে উল্লেখ করে ভারতকে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকেও শেখ মুজিবের বাসভবনে আগুন দেয়ার ঘটনায় কড়া নিন্দা জানানো হয়েছে এবং এই ঘটনাকে ‘অ্যাক্ট অব ভ্যানডালিজম’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেছে, এই ধরনের বক্তব্য দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।
এদিকে, রাজধানী ঢাকায় শেখ মুজিবের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভকারীরা সমবেত হয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলেও একই ধরনের সহিংসতা ঘটে। বিএনপি এই ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে বলে, এটি গণতন্ত্রের বিপর্যয় ঘটানোর চেষ্টা এবং দেশের অগ্রগতি বিপন্ন হতে পারে।