রাজধানীর বনানী থানায় কিশোর মিজান হত্যাচেষ্টা মামলায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সোহাগকে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরউদ্দিন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সোহাগকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিস্তারিত তথ্য অনুযায়ী, ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর বনানী থানাধীন মহাখালী রেলগেটের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় গুলিতে আহত হন ১২ বছর বয়সী কিশোর মিজান। এ ঘটনায় ১২ সেপ্টেম্বর, তার বাবা লিটন মিয়া বনানী থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৭ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে, গত ১১ নভেম্বর রাতে বনানী এলাকা থেকে শামীম আল সাইফুল সোহাগকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির বনানী থানা পুলিশ। তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া, সোহাগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, কিন্তু নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন না পাওয়ায় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন, যেখানে তিনি পরাজিত হন।