মাহফুজ আলমের ওপর হামলার আশঙ্কা, সতর্ক করলেন উসমান হাদী
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ উসমান হাদী। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন।
উসমান হাদী লিখেছেন, “ভারত-সমর্থিত পরাজিত শক্তি যেকোনো সময় মাহফুজ আলমকে টার্গেট করে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে। এমনকি তার জীবননাশের শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।” তিনি সতর্ক করেন, এই ধরনের হামলার পর তা ইসলামপন্থী ছাত্রসংগঠনের ঘাড়ে চাপিয়ে একটি রাজনৈতিক ন্যারেটিভ দাঁড় করানো হতে পারে।
তিনি দাবি করেন, হামলার ঘটনাকে ঘিরে “প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দূতাবাস, কিছু বিদেশি এজেন্সি, ক্ষমতাসীন দল এবং তাদের প্রতিষ্ঠানসমূহ” দ্রুত পাল্টা প্রচার চালিয়ে শিবির ও বিরোধী পক্ষকে দোষারোপ করবে।
‘গুপ্ত হত্যা ও বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি বাড়ছে’
পোস্টে উসমান হাদী আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে লেখেন, যারা অতীতে মাহফুজ আলমের সমালোচনা করেছেন, তারাও এই ঘটনার জেরে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হতে পারেন। একইসঙ্গে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির ছদ্মবেশে ‘লীগের পলাতক খুনিরা’ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দেশে গুপ্ত হত্যায় জড়িয়ে পড়তে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
তার ভাষায়, “এই সুযোগে শাহবাগ ফের সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং জুলাইয়ের সরকার পতনের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হতে পারে। ভারত তখন ‘গুড লীগ’ ফিরিয়ে আনতে পারে, অথবা নিরাপত্তার অজুহাতে একটি কৌশলগত ক্যু সংঘটিত হতে পারে।”
ঐক্যের আহ্বান ও মাহফুজের প্রতি পরামর্শ
দেশে সম্ভাব্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতি রোধে উসমান হাদী বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিকে জরুরি ভিত্তিতে এক টেবিলে বসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও মৌলিক বিষয়ের ওপর ঐক্য গড়া জরুরি। কারণ, একবার সহিংসতা শুরু হলে খুনিরা কোনো দল চেনে না—তারা শুধু জানে কারা ছিল তাদের শত্রু।”
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনি এখন সরকারের অংশ, কোনো দলের প্রতিনিধি নন। তাই দয়া করে সব পক্ষকে সমানভাবে গুরুত্ব দিন। যদি রাজনীতি করতে চান, তবে পদত্যাগ করে খোলাখুলি করুন। নইলে, কিছুদিন বিশ্রাম নিন—কারণ আপনার নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে।”
শেষে হুঁশিয়ারি
উসমান হাদীর মন্তব্য অনুযায়ী, “জুলাই না বাঁচলে বাংলাদেশও টিকবে না।” তিনি মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ‘আরেকটি গণহত্যার’ আশঙ্কা তৈরি করছে এবং একমাত্র রাজনৈতিক ঐক্যই এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে বাঁচাতে পারে।
সূত্রঃ