সাগর-রুনি হত্যা মামলার আলামত পুড়ে যাওয়া নিয়ে ডিএমপির অবস্থান

সাগর-রুনি হত্যা মামলা: নথি পুড়েছে—এমন খবরে ডিএমপির প্রতিবাদ

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তসংক্রান্ত নথিপত্র গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে আগুনে পুড়ে গেছে—এমন খবর সম্প্রতি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। এ বিষয়ে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিবৃতিতে জানান, “সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবির হেফাজতে পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়।”

তিনি বলেন, “এ নিয়ে যেসব তথ্য ছড়িয়েছে, তা বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না।”

টাস্কফোর্সকে আরও ছয় মাস সময়

এদিকে, একই দিন হাইকোর্ট এই মামলার তদন্ত শেষ করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সকে আরও ছয় মাস সময় দিয়েছেন। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। টাস্কফোর্সে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ সদস্যরা রয়েছেন।

ঘটনার পেছনের ইতিহাস

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়, যাদের মধ্যে রুনির বন্ধু তানভীর রহমান ছাড়াও ছিলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল এবং আবু সাঈদ।

তদন্তের ধীরগতি নিয়ে সমালোচনা

হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রথমে পরিচালনা করে পুলিশ। এরপর তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি, কিন্তু তারাও কোনো প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় র‌্যাবকে। তবে দীর্ঘ ১২ বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় মামলাটি নিয়ে ব্যাপক জনআক্রোশ ও হতাশা বিরাজ করছে।

সূত্রঃকালবেলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *