“গণঅভ্যুত্থানের অংশ ছিল না চাঁদাবাজ-দখলবাজরা” — রাশেদ
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, ২০২৪ সালের গণহত্যার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আমরা আশা করেছিলাম সমাজ থেকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও টেন্ডারবাজির মতো অপরাধ বন্ধ হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। যারা এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তারা কখনোই গণঅভ্যুত্থানে যুক্ত ছিল না। বরং এখন তারা সুযোগ নিয়ে পরীক্ষিত নেতাদের বাইরে ঠেলে দিচ্ছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু প্রিয়নাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে রাষ্ট্র সংস্কারের পথ উন্মুক্ত করতে হবে এবং গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণ ও ধোঁয়াশা সৃষ্টি করলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে।
রাশেদ আরও বলেন, “আমরা এমন বাংলাদেশ চাই না যেখানে হাসিনার মতো স্বৈরশাসকের নেতৃত্বে খুন, গুম, জুলুম, নির্যাতন চলে। আমরা এমন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে থাকবে না চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা জনবিরোধী রাজনীতি। থাকবে ন্যায়ের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা শোষণমুক্ত সমাজ।”
তিনি ‘জুলাই বিপ্লবের চেতনায়’ উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার পাঁয়তারা করছে, ডামি এমপিদের জামিন করাচ্ছে কিংবা উপদেষ্টা হয়ে দলটির প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছে—তাদের প্রতিরোধ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় যেভাবে আমরা এক হয়েছিলাম, তেমনই ঐক্যবদ্ধ থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের মাথাচাড়া দিতে না দেওয়ার জন্য সজাগ থাকতে হবে।”
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আমর বিন মারুফ জিতু। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুমন কবির, ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, জেলা পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. রাসেল আহমেদ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. রকিবুল ইসলাম ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। সভা পরিচালনা করেন পৌর গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মকলেচুর রহমান টোকন মিয়া।
সূত্রঃ কালবেলা