টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন মুসল্লিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা টঙ্গী পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকশ’ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বাদী হলেন জুবায়েরপন্থি কিশোরগঞ্জের এস এম আলম হোসেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামির তালিকায় ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, খুলনার বাটিয়াঘাটা উপজেলার আব্দুল্লাহ মনসুর, ঢাকার উত্তরা এলাকার মোয়াজ বিন নূর, সাভারের জিয়া বিন কাশেম, তুরাগ থানা এলাকার আজিমুদ্দিন, সাভার থানার সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ, কক্সবাজারের মাওলানা মোজাম্মেলুল হকের ছেলে আনাসসহ আরও অনেকেই রয়েছেন।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, মামলার আসামিরা মাওলানা সাদের অনুসারী। তারা গত ৪ ও ৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং ইসলামিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালান। তারা ২০-২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে সাদপন্থিদের জোড় করার চেষ্টা করেন এবং তাতে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।
অবশেষে তাদের উসকানিমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে জুবায়ের অনুসারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ হামলায় কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলাম বাচ্চু (৬৫), ফরিদপুরের বেলাল হোসেন (৬০) এবং বগুড়ার তাজুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।