খুবিতে শিক্ষক লাঞ্ছনা নিয়ে বিতর্কিত মামলা, রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকিকে লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়ের করা ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলাটি ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। মামলার একমাত্র অভিযুক্ত ১৮ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমানের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলার শুনানি শেষে তদন্ত কর্মকর্তার ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মিনা মিজানুর রহমান।
এর আগে, ১৩ মে রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে নোমানকে আটক করে পুলিশ। ৪ মে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘হত্যাচেষ্টা’সহ একাধিক ধারায় মামলা করে এবং সিন্ডিকেট সভায় নোমানের স্নাতক সনদ জব্দ ও তাকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকেই মামলায় ৩০৭ ধারা (হত্যাচেষ্টা) প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইশরিয়াক কবির বলেন, “২০-৩০ জনকে সঙ্গে নিয়ে কেউ হত্যা করতে আসে না। এটি ব্যক্তিগত বিরোধ কি না, তদন্ত করে দেখা উচিত।”
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এসএম মাহবুবুর রহমান জানান, তারা তদন্ত কর্মকর্তাকে ৩০৭ ধারা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন, তবে রিমান্ডের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ভূমিকা নেই।
আসামিপক্ষের আইনজীবীর ভাষ্য অনুযায়ী, বিষয়টি এখন তদন্তাধীন এবং আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে চার্জশিট দেওয়া হবে কি না। তদন্ত কর্মকর্তা শেখ খায়রুল বাশার বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধারা বাদ বা যুক্ত হওয়ার বিষয় নেই।
ঘটনার দিন (২ মে) শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগ ওঠে আম পাড়া নিয়ে তৈরি উত্তেজনার জেরে। পরদিন রাতেই শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে এবং পরবর্তীতে সিন্ডিকেট নোমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঘটনার পর আদালত প্রাঙ্গণে নোমানকে দেখা যায় শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে ক্ষমা চাইতে এবং বলেন, “স্যার যদি আদালতে এসে আমাকে ক্ষমা করেন, তাহলে বিষয়টির একটা সমাধান হতে পারে।
সূত্রঃ কালবেলা