ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা: হামলা-পাল্টা হামলার দাবি দুই দেশের
কাশ্মীর সীমান্ত ঘিরে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। ভারত দাবি করেছে, পাকিস্তান একযোগে তাদের ১৫টি শহরে হামলা চালিয়েছে। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা ভারতের অন্তত ৫০ জন সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, সীমান্তবর্তী লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি)-তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তার দাবি, এতে ভারতের ৪০ থেকে ৫০ সেনা নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত পাকিস্তানের লাহোরসহ কয়েকটি শহরের সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এতে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ভারতীয় সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে জানানো হয়, পাকিস্তানের নিক্ষিপ্ত একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই ভূপাতিত করা হয়েছে। ভারতের শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা ও চণ্ডীগড়সহ বিভিন্ন শহরে এস-৪০০ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় ভারত পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালায়। ভারতের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে এই অভিযান চালানো হয়।
সারাদিন ধরেই পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগও ওঠে ভারতের বিরুদ্ধে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, বাহাওয়ালপুরের আহমেদপুর পূর্বাঞ্চলে এক হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশু, নারী ও পুরুষ রয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন আরও ৩৭ জন।
পাকিস্তান আরও দাবি করেছে, তাদের প্রতিরক্ষামূলক হামলায় ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩টি রাফায়েল, ১টি মিগ-২৯, ১টি এসইউ সিরিজের বিমান এবং ১টি হেরন যুদ্ধ ড্রোন।
এগুলো গুলি করে নামানো হয়েছে জম্মু, আখনুর, অবন্তীপুর ও শ্রীনগরের আকাশসীমায় বলে জানায় পাকিস্তান।
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এই দাবি জাতীয় পরিষদে ভাষণ প্রদানকালে তুলে ধরেন। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো এসব দাবির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
সূত্রঃ কালবেলা