ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানী মহাখালীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন আল আমিন রনি। তার মৃত্যু হওয়ার পর ৪ নভেম্বর, তার স্ত্রী মোসাম্মৎ মিম আক্তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। ফুটফুটে মেয়েটির নাম রাখা হয়েছে রোজা, যা তার প্রয়াত বাবার রেখে যাওয়া নাম।
শনিবার (২৩ নভেম্বর), শহীদ রনির মেয়ে রোজাকে দেখতে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের ভাই এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
শহীদ রনির মেয়ে রোজাকে কোলে নিয়ে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন মীর স্নিগ্ধ। ছবির সঙ্গে তিনি লেখেন, “শহীদ রনি ভাইয়ের মেয়ে রোজা। বাচ্চাটি যখন মায়ের পেটে ৬ মাস বয়স, তখন তার বাবা শহীদ হন। রোজার বয়স এখন মাত্র ১৯ দিন। আজ যখন রোজাকে কোলে নিলাম, এক অজানা ভার অনুভব করলাম। কিন্তু সেটা তার ওজনের ভার নয়। এখনো চেষ্টা করছি, বুঝতে পারছি না, সেই ভারটা আসলে কী।”
আল আমিন রনি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর পূর্ব বেতাল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি তার মা এবং ছোট ভাইসহ ঢাকা শহরে মহাখালীর সাততলা বাউন্ডারি বস্তিতে থাকতেন। তার স্ত্রী মিম আক্তার গর্ভবতী থাকায় গ্রামের বাড়িতেই ছিলেন।
রনি মহাখালীর একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন এবং রাতের বেলায় একটি অনলাইনভিত্তিক খাবার সেবা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। রনি বাবার মৃত্যুর পর সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই মহাখালীতে গুলিবিদ্ধ হন রনি। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২০ জুলাই রনিকে তার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।