পঙ্গু হাসপাতালে রাত আড়াইটায় মাহফুজ ও তার চার উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা পর আহতরা সড়ক থেকে হাসপাতালে ফিরে যাওয়ার জন্য রাজি হন, যখন তারা তাদের দাবির পূরণের আশ্বাস পান। বুধবার রাত আড়াইটায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের চারজন উপদেষ্টা উপস্থিত হন। তারা চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাদের শান্ত করার জন্য সড়কে ছুটে যান।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর থেকে হাসপাতালের সামনে সড়কে অবস্থান নেয়া আহতরা যথাযথ চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। এসময় তারা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পদত্যাগও দাবি করেন। রাতে, উপদেষ্টারা আহতদের শান্ত করতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং সহকারী স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মো. সায়েদুর রহমান পঙ্গু হাসপাতালে পৌঁছান।

তারা আহতদের জানায়, দাবির বিষয়ে আলোচনা করতে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে বৈঠকে বসবেন এবং চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করবেন, যা ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। তারা দুটি গাড়ি পাঠিয়ে আহতদের প্রতিনিধি দলের ব্যবস্থা করার আশ্বাসও দেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “এখন আপনাদের কথা শোনার সময় নয়, আজই সচিবালয়ে আসুন। আলোচনার ভিত্তিতে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে, যা ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। আপনারা সুষ্ঠু চিকিৎসা ও পুনর্বাসন পাবেন।”

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “আমাদের কিছু ভুল হয়েছে, তবে আমরা চেষ্টা করেছি। কোনো কারণে আমরা সফল হতে পারিনি।”

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “ভাঙাচোড়া অবস্থায় দায়িত্ব নিয়েছি। অনেক সমস্যা আছে, কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করা সম্ভব।”

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনারা যে সমস্যা জানাচ্ছেন তা সমাধান করা হবে। যদি তা না পারি, তখন যা খুশি করবেন, তাতে আপত্তি থাকবে না। আপনাদের সুষ্ঠু চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করব।”

এই আশ্বাসের পর আহতরা সড়ক থেকে ফিরে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রাজি হন। উপদেষ্টারা তাদের নিয়ে হাসপাতালে ঢোকেন, এবং সোয়া ৪টার দিকে অন্য রোগীদের দেখতে পরে বাসায় চলে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *