সুরা হুজুরাত নাজিল হওয়ার পর অনেক সাহাবি চিন্তিত এবং ভীত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ, এই সুরার প্রথম দুটি আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না। নিজেদের মধ্যে যেভাবে উচ্চকণ্ঠে কথা বলো, সেভাবে নবীর সামনে বলো না। এর ফলে তোমাদের ভালো কাজ নষ্ট হয়ে যাবে, আর তোমরা তা অনুভবও করতে পারবে না।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ২)
এই সুরাকে আদবের সুরা বা সুরাতুল আদব বলা হয়, কারণ এটি মানুষের ভালো আচরণ ও শিষ্টাচারের শিক্ষা দেয়।
সুরা হুজুরাত নাজিল হওয়ার পর সাহাবিরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। আল্লাহ এই সুরায় সাহাবিদের নবী (সা.)-এর সামনে তাদের কণ্ঠস্বর নিচু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত উমর (রা.) ছিলেন একদম উচ্চ কণ্ঠস্বরের অধিকারী, কিন্তু এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর তিনি নিজের কণ্ঠস্বর ধীরে কথা বলতে শুরু করেন।