জিএসপি সুবিধা লাভের জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ, জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, দেশের শ্রম আইনগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আমরা সহজেই এই সুবিধা পাব। এরই মধ্যে সে লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
রোববার (২৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়। বৈঠকে বাণিজ্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, মার্কিন দূতাবাসের প্রধান মেগান বোল্ডিংসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে ১১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, মার্কিন বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে শ্রমিক অধিকার, আইএলও কনভেনশন এবং বায়ার আচরণবিধি ইত্যাদি বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে। এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে জিএসপি সুবিধা নিশ্চিত হবে।
বাণিজ্য সচিব সেলিম উদ্দিন বলেন, শ্রমিকের জীবনযাপন উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। তারা মার্কিন প্রতিনিধিদলকে আরও বেশি ট্রেড ও মার্কেট এক্সেস বাড়ানোর জন্য তাগিদ দিয়েছেন।
এছাড়া, তৈরি পোশাক খাতের অস্থিরতা নিয়ে আলোচনা হয়নি, তবে মার্কিন প্রতিনিধিদল ওই খাতের মানোন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। বর্তমানে, আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি করতে প্রায় ১৬ শতাংশ ডিউটি দিতে হয়, যা জিএসপি সুবিধা পেলে সহজেই এড়ানো যেতো। সেলিম উদ্দিন আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো অন্যান্য বাজারেও একই ধরনের ডিউটি ফ্রি সুবিধা চাইছে বাংলাদেশ।