কিছু দিন আগে লেবানন জাতীয় নারী ফুটবল দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া সেলিন হায়দার, যিনি আসন্ন ওয়েস্ট এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের হয়ে খেলার কথা ছিলেন, এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর কোমায় আছেন সেলিন। হামলার সময় তিনি বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে নিজের বাসার কাছেই ছিলেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেলিনের পরিবার বেশ কিছু সময় আগে ইসরাইলি হামলার সম্ভাবনা নিয়ে বৈরুত ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিল, তবে অনুশীলনের জন্য সেলিন শহরে অবস্থান করছিলেন। হামলার পূর্বে ইসরাইলি বাহিনীর সতর্কতার ঘোষণা পেয়ে সেলিন নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
শনিবার, ইসরাইলি বাহিনী যখন বৈরুতের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছিল, তখন সেলিন ঘুমাচ্ছিলেন। পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার পর তিনি আর নিরাপদ জায়গায় যেতে পারেননি। ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে একে একে বোমা পড়তে থাকে, এবং সেলিন একটি মোটরসাইকেলের ওপর ছিটকে পড়েন। এই আঘাতে মাথায় গুরুতর চোট পেয়ে তিনি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিলেন।
বর্তমানে সেলিনকে বৈরুতের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এখনো তিনি চেতনা ফিরে পাননি, তবে তার বাবা-মা আশাবাদী যে, সেলিন সুস্থ হয়ে উঠবেন। সেলিনের মা সানা জানিয়েছেন, “আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি, তুমি একজন হিরো। আমি প্রতিদিন স্বপ্নে দেখি, তুমি ফিরে এসেছো।