কমলাপুর আইসিডি থেকে হারিয়ে গেছে ৫০০ কনটেইনার

কমলাপুর ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) থেকে প্রায় ৫০০ কনটেইনারের হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না, যা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে পড়ে রয়েছে। এসব কনটেইনারের আমদানি নথি, অর্থাৎ বিল অব এন্ট্রি, এখনো দাখিল হয়নি। বিষয়টি সামনে আসার পর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করে, এবং তারা সন্দেহ করছে যে এসব কনটেইনারে থাকা উচ্চ শুল্কের পণ্য, যেমন কসমেটিকস ও এলইডি লাইট, কর ফাঁকি দিয়ে গোপনে খালাস করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে কাস্টম হাউস আইসিডি কমলাপুর একটি কমিটি গঠন করেছে, কিন্তু এখনও পূর্ণ হিসাব পাওয়া যায়নি।

তদন্তে জানা গেছে, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ৪৯৫টি কনটেইনারের আমদানি নথি দাখিল হয়নি, যার ফলে এসব কনটেইনারের গন্তব্য এবং পণ্য সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। শুল্ক কর্মকর্তারা মনে করছেন, এসব কনটেইনারের অধিকাংশ গোপনে খালাস করা হয়েছে এবং এর ফলে শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ কাস্টম হাউস ও বন্দরের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এসব কনটেইনারের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু এখনও সুরাহা পাওয়া যায়নি।

কাস্টম হাউসের কমিশনার নাহিদা ফরিদী জানিয়েছেন যে, কয়েকটি পুরোনো কনটেইনারের হিসাব এখনো মিলছে না এবং এর মধ্যে কিছু কনটেইনার পুনঃরপ্তানি বা নিলাম করা হয়েছে। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, এসব কনটেইনারের প্রকৃত পণ্য কী ছিল, তা জানা জরুরি। ৭ সদস্যের একটি কমিটি এই বিষয়টি তদন্ত করছে, কিন্তু এখনো পুরো তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া, ২০১৫ সালের আগে পুরোনো কনটেইনারগুলোও সম্ভবত একই পরিস্থিতিতে পড়েছে, এমন ধারণা করছেন কর্মকর্তারা। ২০১০ সালের কিছু কনটেইনারের হিসাবও পাওয়া যাচ্ছে না, যা দীর্ঘ সময় ধরে কাস্টম হাউসে পড়ে রয়েছে এবং প্রকৃত মালিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এসব কনটেইনারে এলইডি লাইট, বডি স্প্রে ও কারখানার কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা হয়েছিল, এবং উচ্চ শুল্কের কারণে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বন্দরের কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তারা কোনো সদুত্তর দেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *