বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘‘গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান ঘটানো হবে।’ মঙ্গলবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘ছেলেদের রক্তের ওপর পা রেখে দিল্লিকে কিবলা বানিয়ে ক্ষমতার মসনদে ওঠার আকাঙ্ক্ষা জনগণের মুক্তির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। আওয়ামী পুনর্বাসনের জন্য যারা চেষ্টা করবেন, তাদের ইতিহাস গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।’’
হাসনাত আরও বলেন, ‘‘যারা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় বিশ্বাসী, যারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চান, তারা ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বিচার ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করতে পারবেন না।’’
এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘বিএনপি যে দাবি করেছে যে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে, তা উপেক্ষা করা হবে না।’’
এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘আওয়ামী লীগ কি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে?’’ এর উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, এটি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি। বিএনপি ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তারা বলেছে, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে, সুতরাং তাদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করা হবে না।
এছাড়া, মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে দেওয়া হবে না, বিএনপি তা চায় না।