বরিশাল থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের পশুরকাঠি এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম আলো মজুমদার, তিনি পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক অনুপ রায়ের স্ত্রী।
এ বিষয়ে জানা যায়, আলো বরিশালের কাশিপুর এলাকায় দুই সন্তানসহ ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি বানারীপাড়া উপজেলার নরেরকাঠি গ্রামে। পুলিশ কর্মকর্তা অনুপ রায় জানান, সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আলো। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার ছবি দিয়ে খোঁজ করা হয়, কিন্তু তাতে কিছু পাওয়া যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, বিভিন্ন সূত্রে তিনি জানতে পারেন যে, আলো সোমবার রাতে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ওই সময় দ্রুত লঞ্চ থামিয়ে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। এরপর লঞ্চটি ঢাকা যাওয়ার জন্য রওনা দেয়।
আলোর ভাই মঞ্জু মজুমদার জানান, তার বোন মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং চিকিৎসা চলছিল। মাঝে মাঝে তিনি এমন আচরণ করতেন, তবে সোমবার বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে জানা যায়, তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
সুন্দরবন লঞ্চের ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, লঞ্চের যাত্রী ঝাঁপ দেওয়ার খবর পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে লঞ্চ থামিয়ে সার্চলাইট দিয়ে খোঁজ চালায়, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। পরে লঞ্চটি ঢাকা চলে যায়।
এদিকে, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, নৌপুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে এবং অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।